বিশ্বস্ত

ভোলানাথের সঙ্গে তার এক মনোরোগ চিকিত্সক বন্ধুর দেখা। ভোলানাথ তাকে দেখে অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করল, ‘আরে গোপাল, তুই! আমি তো শুনেছিলাম তুই মরে গেছিস!’

গোপাল: হুমম, কিন্তু এখন তো জীবিতই দেখলে, নাকি?
ভোলানাথ: হতেই পারে না! যে ব্যক্তি আমাকে এই সংবাদ দিয়েছে সে যে তোমার চেয়েও বিশ্বস্ত। 

খরচাটা একটু বাড়িয়ে দিতে চাই

ভোলানাথ প্রায়ই টেলিভিশনে বিদেশি চ্যানেলে অনুষ্ঠান দেখে। ভোলানাথের স্ত্রী তাই মহা খাপ্পা। রেগেমেগে তিনি একদিন জিজ্ঞেস করলেন, ‘আচ্ছা, তুমি সারা দিন বসে বসে শুধু বিদেশি চ্যানেল দেখ কেন?’ ভোলানাথ খুব বিরক্তির স্বরে বলল, ‘যেটা বোঝো না সেটা নিয়ে কথা বলতে এসো না। স্বদেশের প্রতি প্রীতি আছে বলেই আমি বিদেশি চ্যানেল দেখি। যত বেশি বিদেশি চ্যানেল দেখব ততই তো ওদের খরচ হবে। তাই বিদেশিদের খরচাটা একটু বাড়িয়ে দিতে চাই। বুঝলে গিন্নি?’

ওষুধ সেবন

ফুটবল খেলতে গিয়ে ভোলানাথ পায়ে প্রচণ্ড ব্যথা পেয়েছে। সেই ব্যথা নিয়ে সে কোঁকাতে কোঁকাতে ডাক্তারের কাছে গিয়ে হাজির। তাকে দেখে ডাক্তার বললেন, ‘কী মনে করে এলে, ভোলানাথ?’ ভোলানাথ মুখ কুঁচকে বলল, ‘আর বলবেন না ডাক্তার বাবু, পায়ের ব্যথায় যে মরে যাচ্ছি গো। তাড়াতাড়ি ব্যথা কমানোর বড়ি দিন দেখি।’ ডাক্তার ভোলানাথকে ভালো করে দেখে চিকিত্সাপত্রে কিছু বড়ির নাম লিখে পাশে লিখে দিল—‘ইহার পর হইতে ব্যথা উঠিবার আধাঘণ্টা পূর্বে ওষুধটি সেবন করিবে।’

টেলিভিশন ছাড়া সবকিছু চুরি হয়ে গেছে

ভোলানাথ পুলিশের কাছে গিয়ে নালিশ করল, ‘স্যার, কাল রাতে টেলিভিশনটা ছাড়া আমার বাসার সবকিছু চুরি হয়ে গেছে।’ এ কথা শুনে পুলিশ অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করল, ‘তা চোর মহাশয় সব নিল কিন্তু টেলিভিশনটা নিল না কেন?’ ভোলানাথের জবাব, ‘ওটা আর চুরি করবে কীভাবে বলেন, আমি তো তখন বসে বসে টেলিভিশনে অনুষ্ঠান দেখছিলাম!’

পিটিয়ে আধমরা

পাহাড়ে উঠেছে ভোলানাথ। উঠেই সে একটা আলাদিনের চেরাগ হাতে পেয়ে গেল। ভোলানাথ সেই চেরাগে ঘষা মারতেই এক দৈত্য এসে হাজির হয়ে বলল, ‘হুকুম করুন আমার মালিক।’ ভোলানাথ তো অবাক। খানিক পরে সে ধাতস্থ হয়ে বলল, ‘আমি তোমার কাছে তিনটি জিনিস চাইব। দিতে পারবে তো?’ দৈত্য বলল, ‘জি মালিক, তবে আমার একটা শর্ত আছে। আপনাকে যা দেব, আপনার বন্ধু ওই জিনিসটি আপনা-আপনি দ্বিগুণ পরিমাণে পাবে।’ ভোলানাথ তো এতে মহাখুশি। সে রাজি হয়ে বলল, ‘ঠিক আছে, তবে তাই হোক। আমাকে একটা পরশপাথর দাও দেখি।’ দৈত্য ভোলানাথকে পরশপাথর দিয়ে বলল, ‘আপনার বন্ধু কিন্তু দুটি পরশপাথর পেয়েছে।’ এরপর ভোলানাথ দৈত্যের কাছে ১০০ মিলিয়ন ডলার চাইল। দৈত্য ভোলানাথের হাতে ১০০ মিলিয়ন ডলার ধরিয়ে দিয়ে বলল, ‘আপনার বন্ধু এবার ২০০ মিলিয়ন ডলার পেল।’ ভোলানাথের বন্ধু সবকিছু দ্বিগুণ পাচ্ছে দেখে ভোলানাথের রাগ চরমে উঠে গেল। এ ছাড়া ওই বন্ধুর ওপর খানিক রাগও আছে তার। সে ভাবল, এই তো সুযোগ! মুচকি হেসে দৈত্যকে বলল, ‘এবার আমাকে পিটিয়ে আধমরা করে দাও তো বাপু!’

ফ্রি বাগান চাষ

জেলে কয়েদ থাকা অবস্থায় একদিন ভোলানাথের কাছে তার স্ত্রীর চিঠি এল। চিঠিতে লেখা, ‘আমি সামনের বাগানটায় স্ট্রবেরি চাষ করতে চাই। তুমি কি বলে দেবে, এর জন্য কোন সময়টা উপযুক্ত?’ ভোলানাথ বুঝতে পারল যে জেলপ্রহরী তার সবগুলো চিঠি আগেই পড়ে ফেলে। তাই জেলপ্রহরীকে মজা দেখানোর জন্য ভোলানাথ তাঁর স্ত্রীর কাছে চিঠি লিখল, ‘খবরদার! সামনের বাগানে হাত দেবে না। ওখানে আমার সবগুলো টাকা লুকিয়ে রেখেছি।’ কিছু দিন পর ভোলানাথ আবারও তার স্ত্রীর একটি চিঠি পেল। তাতে লেখা, ‘তুমি কল্পনাও করতে পারবে না, কী ঘটেছে! কাল কিছু পুলিশ এসে তোমার সামনের বাগানটা অযথা খোঁড়াখুঁড়ি করে চাষ করে ফেলেছে। কিন্তু তারা কিছুই পায়নি।’ চিঠির উত্তরে ভোলানাথ লিখে, ‘হুম, এখনই হচ্ছে স্ট্রবেরি চাষের উপযুক্ত সময়। আর দেখলে, কীভাবে পুলিশদের দিয়ে ফ্রি ফ্রি বাগানটা চাষ করিয়ে নিলাম।’